বাংলা ব্যাকরণ

একবচন এবং বহুবচন

পদাশ্রিত নির্দেশক

পদাশ্রিত নির্দেশক কয়েকটি অব্যয় বা প্রত্যয় কোনো না কোনো পদের আশ্রয়ে বা পরে সংযুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে, এগুলোকে পদাশ্রিত অব্যয় বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে। বচনভেদে পদাশ্রিত নির্দেশকেরও বিভিন্নতা প্রযুক্ত হয়। (ক) একবচনে – টা, টি, খানা, খানি, ইত্যাদি নির্দেশক ব্যবহৃত হয়। বইখানি বাড়িটা টাকাটা কাপড়খানা (খ) বহুবচনে: গুলি, গুলা, গুলো, গুলিন প্রভৃতি নিদের্শক প্রত্যয় …

পদাশ্রিত নির্দেশক Read More »

অর্থসহ বাংলা প্রবাদ বাক্য

বাংলা প্রবাদ বাক্য

মানুষের দীর্ঘদিনের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে ঐ সমাজের কোনো সৃষ্টিশীল ব্যক্তি যে চৌকস অভিব্যক্তি বাণীবদ্ধ করে, তাই কালে কালে প্রবাদে পরিণত হয়। যেমন- দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা- শত্রুকে সযত্নে লালন পালন করা ক্রমিক প্রবাদ অর্থ ১ অতি লোভে তাঁতি নষ্ট- বেশি লোভে ক্ষতি ২ ধান ভানতে শিবের গীত -অপ্রাসঙ্গিক কথার অবতারণা ৩ তেলে মাথায় তেল …

বাংলা প্রবাদ বাক্য Read More »

প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উক্তি কাকে বলে

উক্তি: প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উক্তি কাকে বলে

কোনো কথকের বাক কর্মের নামই উক্তি। যেমন- খোকা বলল, “আমার বাবা বাড়ি নেই ।” উক্তি কত প্রকার উক্তি দুই প্রকার। যথা:- (১) প্রত্যক্ষ উক্তি এবং (২) পরোক্ষ উক্তি। প্রত্যক্ষ উক্তি কাকে বলে যে বাক্যে বক্তার কথা অবিকল উদ্ধৃত হয়, তাকে প্রত্যক্ষ উক্তি বলে। যথা – খোকা বলল, “আমার বাবা বাড়ি নেই ।” শিক্ষক বললেন, “কাল …

উক্তি: প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উক্তি কাকে বলে Read More »

অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ কাকে বলে

অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ

অনুসর্গ কাকে বলে বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে । অনুসর্গগুলো কখনো প্রাতিপদিকের পরে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো বা ‘কে’ এবং ‘র’ বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে। যেমন- দিয়ে : তোমাকে দিয়ে আমার চলবে না। …

অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ Read More »

অনুজ্ঞা ভাব

ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার

ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে সূর্য অস্ত যাচ্ছে। এখন বাড়ি যাও। সে পড়লে পাশ করত। তোমার কল্যাণ হোক ৷ ওপরের বাক্যগুলোতে ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার বিভিন্ন রীতি প্রকাশ পেয়েছে। ক্রিয়ার যে অবস্থার দ্বারা তা ঘটার ধরন বা রীতি প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার বলে। ক্রিয়ার ভাব বা ধরন চার প্রাকার। যথা:- নির্দেশক ভাব কিছু জিজ্ঞাসা …

ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার Read More »

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়

তদ্ধিত প্রত্যয়

তদ্ধিত প্রত্যয় কাকে বলে # মেয়েটি বড় লাজুক। # বড়াই করা ভালো না । ওপরের  ‘লাজুক’, ‘বড়াই’ শব্দগুলো গঠিত হয়েছে এভাবে : লাজুক= লাজ + উক; বড়াই=বড়+আই; । ‘লাজ ও ‘বড়’ শব্দগুলোর পরে যথাক্রমে ‘উক, ‘আই’(প্রত্যয়) যোগ করে নতুন শব্দ গঠিত হয়েছে। শব্দের সঙ্গে (শেষে) যেসব প্রত্যয় যোগে নতুন শব্দ গঠিত হয়, তাদের তদ্ধিত প্রত্যয় …

তদ্ধিত প্রত্যয় Read More »

কৃৎ প্রত্যয় কাকে বলে

কৃৎ প্রত্যয়

ক্রিয়ামূলকে বলা হয় ধাতু, আর ধাতুর সঙ্গে পুরুষ ও কালবাচক বিভক্তি যোগ করে গঠন করা হয় ক্রিয়াপদ। ধাতুর সঙ্গে যখন কোনো ধ্বনি বা ধ্বনি-সমষ্টি যুক্ত হয়ে বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ তৈরি হয়, তখন (১) ক্রিয়ামূল বা ধাতুকে বলা হয় ক্রিয়া প্রকৃতি বা প্রকৃতি; আর (২) ক্রিয়া প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয়, তাকে …

কৃৎ প্রত্যয় Read More »

মৌলিক ধাতু এবং সাধিথ ধাতু

ধাতু: মৌলিক ধাতু এবং সাধিত ধাতু

ক্রিয়াপদের মূল অংশকে বলা হয় ধাতু বা ক্রিয়ামূল। ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে দুটো অংশ পাওযা যায়। যথা:- (১) ধাতু বা ক্রিয়ামূল এবং (২) ক্রিয়া বিভক্তি। ক্রিয়াপদ থেকে ক্রিয়া বিভক্তি বাদ দিলে যা থাকে তাই ধাতু। যেমন – ‘করে’ একটি ক্রিয়াপদ। এতে দুটো অংশ রয়েছে : কর্ +এ; এখানে ’কর্’ ধাতু এবং ‘এ’ বিভক্তি। ধাতু কত প্রকার …

ধাতু: মৌলিক ধাতু এবং সাধিত ধাতু Read More »

বাংলা, সংস্কৃত এবং বিদেশী উপসর্গ

উপসর্গ: বাংলা তৎসম এবং বিদেশি উপসর্গ

উপসর্গ কাকে বলে ভাষায় ব্যবহৃত অব্যয়সূচক শব্দাংশেরই নাম উপসর্গ। ইংরেজি Prefix শব্দের বাংলা উপসর্গ। কাজ’ একটি শব্দ । এর আগে ‘অ’ অব্যয়টি যুক্ত হলে হয় ‘অকাজ’ – যার অর্থ নিন্দনীয় কাজ। ‘হাঁস’ একটি শব্দ। এর আগে ‘পাতি’ অব্যয়টি যুক্ত হলে হয় পাতিহাঁস। এ উপসর্গগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে এদের …

উপসর্গ: বাংলা তৎসম এবং বিদেশি উপসর্গ Read More »

ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি

দ্বিরুক্ত শব্দ: শব্দের দ্বিরুক্তি পদের দ্বিরুক্তি ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি

দ্বিরুক্ত শব্দ কাকে বলে দ্বিরুক্ত শব্দের অর্থ হচ্ছে দুবার উক্ত হয়েছে এমন। বাংলা ভাষায় কোনো কোনো শব্দ, পদ বা অনুকার শব্দ একবার ব্যবহার করলে যে অর্থ প্রকাশ করে, সেগুলো দুবার ব্যবহার করলে তার অর্থের সম্প্রসারণ ঘটে বা বিশেষভাবে জোরালো অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়। এ জাতীয় শব্দগুলোকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে। যেমন:- জ্বর (রোগ বিশেষ) : আমার জ্বর …

দ্বিরুক্ত শব্দ: শব্দের দ্বিরুক্তি পদের দ্বিরুক্তি ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি Read More »