অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ কাকে বলে

অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় শব্দ

অনুসর্গ কাকে বলে

বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদ রূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলে ।

অনুসর্গগুলো কখনো প্রাতিপদিকের পরে ব্যবহৃত হয়, আবার কখনো বা ‘কে’ এবং ‘র’ বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসে। যেমন-

দিয়ে : তোমাকে দিয়ে আমার চলবে না। (দ্বিতীয়ার ‘কে’ বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে)
সনে : ময়ূরীর সনে নাচিছে ময়ূর। (ষষ্ঠী বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে
বিনা : দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? (প্রাতিপদিকের পরে

বাংলা ভাষায় বহু অনুসর্গ আছে। যেমন—

সহ, ওপর, অবধি, হেতু, জন্যে, তরে, পানে, নামে, মতো, নিকট, অধিক, পক্ষে, মধ্যে, মাঝে, পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, হইতে, হতে, থেকে,  প্রতি, বিনা, বিহনে, জন্য, পর্যন্ত অপেক্ষা, সহকারে, দ্বারা, দিয়া, দিয়ে, কর্তৃক, সঙ্গে, চেয়ে, পাছে, ভিতর, ভেতর ইত্যাদি।

অনুসর্গের প্রয়োগ

বিনিকরণ কারকের সঙ্গে – বিনি সুতায় গাঁথা মালা।
বিহনেউদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ ?
বিনা/বিনে :কর্তৃ কারকের সঙ্গে – তুমি বিনা (বিনে) আমার কে আছে ?
সনেবিরুদ্ধগামিতা অর্থে – ‘দংশনক্ষত শ্যেন বিহঙ্গ যুঝে ভুজঙ্গ সনে।’
সহিতসমসূত্রে অর্থে – শত্রুর সহিত সন্ধি চাই না।
সহসহগামিতা অর্থে – তিনি পুত্রসহ উপস্থিত হলেন।

আরো পড়ুন:-উপসর্গ: বাংলা তৎসম এবং বিদেশি উপসর্গ

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *