তুলা রাশি চেনার উপায়

তুলা রাশির বৈশিষ্ট্য | তুলা রাশি চেনার উপায়

রাশি চক্রের সপ্তম রাশি তুলা। এ  রাশির ব্যক্তিদের মধ্যে কমন কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। এরা খুব সুন্দর এবং পরিপাটি ভাবে চলতে পছন্দ করে। অভিনয়ের প্রতি রয়েছে তাদের প্রবল আগ্রহ।

তাঁরা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করে এবং সব বন্ধুদের সাথে তাদের ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে।পেশা হিসেবে এরা স্বাধীন কোন পেশাকে বেচে নেয়। প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে এরা খুব এগিয়ে থাকে।

জেনে নিন

শুভ দিনশুক্র
শুভ রংধূসর এবং সাদা
শুভ রত্নহিরে
শুভ দিকপশ্চিম
শুভ সংখ্যা৫, ৫৫

আরো জানুন: মেষ রাশির বৈশিষ্ট্য

তুলা রাশি

তুলা রাশিতে আসে ২১শে সেপ্টেম্বর, কিন্তু সাতদিন পূর্বরাশি দ্বারা আবদ্ধ থাকে বলে ২৮-এর আগে পূর্ণ শক্তিশালী হতে পারে। তারপর থেকে পূর্ণবলী হয় এবং পূর্ণ শক্তিমত্তার সঙ্গে অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ অবধি বিরাজ করে কাছে আগত বৃশ্চিক রাশির আত্মসমর্পণ করে। এই চিহ্নটি তুলাদণ্ড হিসাবে চিহ্নিত থাকে।

এই সময় যাঁরা জন্মগ্রহণ করেন তাঁদের চিন্তাধারার মধ্যে সুস্পষ্ট ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায় এবং এঁরা সহজেই মনস্থির করতে পারেন। এঁদের দূরদৃষ্টি অতি প্রবল এবং ভগবৎদত্ত একটা ক্ষমতা থাকে যার থেকে এঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন এবং প্রথমেই যা মনে আসে সেই অনুযায়ী যদি এঁরা কাজ করেন তবে সবসময়েই এঁদের পক্ষে তা মঙ্গলজনক।

আধিভৌতিক জগতের প্রতি এঁদের আকর্ষণ অত্যন্ত বেশী এবং মিডিয়াম হিসাবে অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা থাকে। অতীন্দ্রিয়, ঈশ্বর রহস্য বা আধিভৌতিক জিনিষের প্রতি এঁদের ঝোঁক অত্যন্ত বেশী অথচ এঁরা এতো যুক্তিবাদী হন যে, সব জিনিষই যুক্তিগ্রাহ্য বিষয়ের আঁওতার মধ্যে আনতে চান যাতে করে এঁদের আধিভৌতিক প্রীতি অনেকটা কমে যায় ।

ফটকা খেলায় এঁরা প্রভূত অর্থ উপার্জন করতে পারেন কিন্তু এঁদের অর্থের দিকে ঝোঁক অতি অল্প এবং সাধারণভাবে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে এঁদের চলতে হয়। এঁদের চিহ্ন হচ্ছে তুলাদন্ড।

এঁরা সবসময়েই দুটো জিনিষ পাশাপাশি রেখে বিচার করেন এবং সিদ্ধান্তে উপনীত হন। এঁদের মধ্যে বেশীর ভাগ লোকই আইন পড়েন এবং সচরাচর এঁরা উকিল, ব্যারিস্টার বা জজ হিসাবে নাম করেন।

জনসাধারণের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন সব কাজেও এঁরা নিযুক্ত রয়েছেন দেখা যায় কিন্তু তার মধ্যেও এঁদের একটা আন্তরিক আগ্রহ থাকে যে, জনসাধারণের মঙ্গলার্থে এঁরা আইন প্রণয়ন করবেন। জ্ঞানের দিকে এঁদের খুব ঝোঁক থাকে এবং

সাধারণত কোন বিষয়ে গবেষণা বা জ্ঞানলাভার্থে আজীবন বিদ্যার্জনেই কাটিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু তাতেও এঁরা বিবেকনিষ্ঠ হয়ে দুটি জিনিষ পাশাপাশি রেখে বিচার করে তবে অগ্রসর হন।

এই কারণে এঁরা ডাক্তারীতে বিশেষ সুনাম অর্জনকরতে পারেন, কিন্তু সাধারণ ডাক্তার হিসাবে নয়, চিকিৎসাবিদ্যায় বিশেষ কোন শাখায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি অর্জন করে। যে সমস্ত বিষয়ে বিদ্যার চিন্তাশীলতা এবং বিবেচনা শক্তি দরকার হয়, সেই সব লাইনই এঁদের পক্ষে সবচেয়ে ভাল। প্রকৃতপক্ষে যে কোন লাইনেই এঁরা কৃতকার্য হতে পারেন।

আরো জানুন: মকর রাশির বৈশিষ্ট্য

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *